ad

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩।

Views

 


সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩।

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১

বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রী সরকার
বাংলাদেশ
গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০২৩
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়
অর্থ বিভাগ প্রবিধি অনুবিভাগ
প্রবিধি-১ অধিশাখা
প্রজ্ঞাপন
তারিখ: ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ/১৩ আগস্ট, 2023 খ্রিষ্টাব্দ

এস.আর.ও.নং ২৫০-আইন/২০২৩ । — সরকার, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৪ নং আইন) এর ধারা ২৯ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথা : ১। শিরোনাম এবং প্রবর্তন। (১) এই বিধিমালা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। ২। সংজ্ঞা।— (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়, কো

ক) “আইন” অর্থ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪ নং আইন); (খ) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ আইনের ধারা ২ এর দফা (৩) এ সংজ্ঞায়িত কর্তৃপক্ষ;

(গ) “কর্পাস হিসাব” অর্থ চাঁদাদাতা কর্তৃক স্কিমে জমাকৃত অর্থের হিসাব; (ঘ) “তফসিল” অর্থ এই বিধিমালার তফসিল; (ঙ) “স্কিম” অর্থ আইনের ধারা ২ এর দফা (১৬) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, বিধি ৩ এ উল্লিখিত কোনো স্কিম।

(২) এই বিধিমালায় ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি আইনে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।

(১০৮২৫) মূল্য : টাকা ১২.০০

১০৮২৬ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩

৩। স্কিমসমূহ।—(১) বিধি ৪ এর অধীন নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কোনো স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা: (ক) প্রবাস স্কিম (প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণের জন্য); বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক তফসিলে বর্ণিত চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; এবং তিনি দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করিতে পারিবেন এবং, প্রয়োজনে, স্কিম পরিবর্তন করিতে পারিবেন, তবে, পেনশন স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রাপ্য হইবেন; (খ) প্রগতি স্কিম (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণের জন্য): বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে উহার কর্মচারীগণের জন্য এই স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) কর্মচারী এবং অবশিষ্ট ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) প্রতিষ্ঠান প্রদান করিবে; এবং কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ না করিলে, উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; (গ) সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকগণের জন্য): অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ যেমন- কৃষক, রিক্সাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি, ইত্যাদি তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; এবং (ঘ)সমতা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকগণের জন্য অংশ প্রদায়ক পেনশন): বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক, সময় সময়, প্রকাশিত আয় সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র্য সীমার নিম্নে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগণ [যাহাদের বর্তমান আয় সীমা বাৎসরিক অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) হাজার টাকা] তফসিলে বর্ণিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; এবং সমতা স্কিমে কর্তৃপক্ষ বিধি ৯ অনুসারে সমপরিমাণ অর্থ জমা করিবে।

(২) তফসিল অনুযায়ী প্রতিটি স্কিমের বিপরীতে বর্ণিত পরিমাণ চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে উল্লিখিত হারে মাসিক পেনশনের (সম্ভাব্য) প্রাপ্যতা অর্জিত হইবে।

বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩

৪। স্কিমে অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও নিবন্ধন । ( ১ ) ১৮ (আঠারো) বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়স হইতে ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক তাহাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করিতে পারিবেন; তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ বিবেচনায় ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর ঊর্ধ্ব বয়সের নাগরিকগণও স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সেইক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ হইতে নিরবচ্ছিন্ন ১০ (দশ) বৎসর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হইবেন সেই বয়স হইতে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হইবেন। (২) প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ যাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই, তাহারা তাহাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিয়া তাহার অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা প্রদান করিতে হইবে: আরও শর্ত থাকে যে, নিয়মিতভাবে পাসপোর্ট নবায়ন বা পুনঃইস্যুর ক্ষেত্রে নবায়নকৃত বা পুনঃইস্যুকৃত পাসপোর্টের অনুলিপি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা প্রদান করিতে হইবে। (৩) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিগণ তাহাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, স্কিমে অংশগ্রহণ করিবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করিতে হইবে। (৪) কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকগণকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করিয়া আবেদন করিতে হইবে যাহার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর প্রদান করা হইবে। (৫) আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা প্রদানের তারিখ অবহিত করা হইবে। ৫। মাসিক চাঁদা প্রদান। (১) যে কোনো স্কিমে নিবন্ধিত হইলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত স্কিমের জন্য ধার্যকৃত হারে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করিতে হইবে। (২) নিবন্ধনের পর আবেদনকারী বিধি ৪ এর উপ-বিধি (৫) এ উল্লিখিত তারিখের মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, Online banking, credit card বা debit card এর মাধ্যমে বা তফসিলি ব্যাংকের কোনো শাখায় OTC (Over the Counter) পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে মাসিক চাঁদা জমা করিবেন।


১০৮২৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩

(৩) প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ credit card বা debit card এর মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদার টাকা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা করিবেন। (৪) নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা জমা করিতে ব্যর্থ হইলে পরবর্তী এক মাস পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া চাঁদা প্রদান করা যাইবে এবং এক মাস অতিবাহিত হইলে পরবর্তী প্রতি দিনের জন্য ১% হারে বিলম্ব ফি জমা প্রদান সাপেক্ষে হিসাবটি সচল রাখা যাইবে। (৫) কোনো চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে ৩ (তিন) কিস্তি চাঁদা জমাদানে ব্যর্থ হইলে তাহার পেনশন হিসাবটি স্থগিত হইবে এবং প্রতিদিনের জন্য উপ-বিধি (৪) অনুযায়ী সমুদয় বকেয়া কিস্তি পরিশোধ না করা পর্যন্ত হিসাবটি সচল করা হইবে না। (৬) চাঁদাদাতাগণ মাসের নাম উল্লেখপূর্বক যে কোনো পরিমাণ চাঁদার টাকা অগ্রিম হিসাবে জমা করিতে পারিবেন। (৭) কোনো প্রতিষ্ঠান স্কিমে অংশগ্রহণ করিলে কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য ধার্যকৃত মাসিক চাঁদা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একত্রে তহবিলে জমা করিতে হইবে। (৮) সকল স্কিমের জন্য চাঁদার কিস্তি চাঁদাদাতার পছন্দ অনুযায়ী মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকিবে। (৯) চাঁদার টাকা জমা হইলে চাঁদাদাতার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে তাহাকে অবহিত করা হইবে এবং নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা প্রদান করা না হইলে বিলম্ব ফিসহ চাঁদা জমাদানের জন্য চাঁদাদাতার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে মেসেজ প্রদান করা হইবে। ৬। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে বিধান। — (১) কোনো চাঁদাদাতা চাঁদা প্রদানকালে শারীরিক ও মানসিক অসামর্থ্যের কারণে স্থায়ী বা সাময়িকভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মহীন ও উপার্জনে অসমর্থ হইলে তাহাকে অস্বচ্ছল চাঁদাদাতা হিসাবে ঘোষণার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবেন (২) কোনো চাঁদাদাতার অসচ্ছলতা নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ, প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক পৃথক মেডিকেল বোর্ড গঠন করিবে। (৩) মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ ব্যতীত কোনো চাঁদাদাতাকে অস্বচ্ছল চাঁদাদাতা হিসাবে ঘোষণা করা যাইবে না। (৪) চাঁদাদাতার মানসিক বা শারীরিক অসামর্থ্যের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সচিব, অর্থ বিভাগ বরাবর আপিল দায়ের করিতে পারিবেন। (৫) আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩ ১০৮২৯.

(৬) অস্বচ্ছল চাঁদাদাতা হিসাবে ঘোষিত হইবার পর সর্বোচ্চ ১২ (বারো) মাস পর্যন্ত চাঁদা পরিশোধ না করিলেও চাঁদাদাতার পেনশন হিসাবটি স্থগিত হইবে না। ৭। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি চাঁদাদাতা হইলে চাঁদা প্রদানের বিধান। — (১) কোনো চাঁদাদাতা চাঁদা প্রদানকালে মানসিক অসামর্থের কারণে অস্বচ্ছল হিসাবে ঘোষিত হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত স্কিমের স্বত্ব উক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির নমিনী অথবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারীর উপর ন্যস্ত করিতে পারিবেন। (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন কোনো মানসিক ভারসাম্যহীন চাঁদাদাতার নমিনী বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারী তাহার পেনশন হিসাব বা কর্পাস হিসাবে চাঁদার কিস্তি নিয়মিত জমা করিয়া স্কিম চালু রাখিতে পারিবেন এবং স্কিমের মেয়াদ শেষে উক্ত স্কিমের বিপরীতে পেনশনের অর্থ নমিনী বা নমিনীগণ এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণ উত্তোলন করিতে পারিবেন। ৮। চাঁদাদাতা বা পেনশনার নিখোঁজ হইলে চাঁদা প্রদানের বিধান। ——–(1) চাঁদাদাতা নিখোঁজ হইলে, নিখোঁজ ব্যক্তির নমিনী বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারী সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়রি করিয়া তাহার নিখোঁজ হইবার বিষয়টি পেনশনের সম্মুখ অফিসে বা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া চাঁদাদাতার পেনশন হিসাব বা কর্পাস হিসাবে নির্দিষ্ট চাঁদার অর্থ জমা করিতে পারিবেন। (২) চাঁদাদাতা নিখোঁজ হইবার ৭ (সাত) বৎসর অতিক্রান্ত হইলে এবং নিখোঁজ ব্যক্তি ফিরিয়া না আসিলে, উক্ত চাঁদাদাতার স্কিম স্থগিত রাখিতে হইবে এবং পেনশনের প্রাপ্যতা অর্জিত হওয়া সাপেক্ষে তাহাকে নিখোঁজ পেনশনার গণ্য করিয়া উপ-বিধি (৩) এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে। (৩) পেনশনার তাহার বয়স ৭৫ (পঁচাত্তর) বৎসর পূর্ণ হইবার পূর্বে নিখোঁজ হইলে, তাহার নিখোঁজ হইবার অন্যূন ৭ (সাত) বৎসর পর পেনশনারের মাসিক পেনশন বাবদ পাওনা তাহার নমিনী বা নমিনীগণ অথবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণকে প্রদান করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, নিখোঁজ পেনশনারের নমিনী বা নমিনীগণ এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণ পেনশনারের বয়স ৭৫ (পঁচাত্তর) বৎসর পূর্ণ হইতে যতদিন লাগে ততদিন পর্যন্ত মাসিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ৯। সমতা স্কিমে চাঁদাদাতার অনুকূলে সরকারি অর্থ জমা প্রদান, ইত্যাদি। ——– (১) কর্তৃপক্ষ, আইনের ধারা ১৬ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ঘ) অনুসারে সমতা স্কিমে সরকারি অংশ প্রদানের জন্য যথেষ্ট অর্থ রহিয়াছে কিনা বা যথেষ্ট অর্থ না থাকিলে ইহা বাবদ কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে, তাহা কর্তৃপক্ষ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারণ করিয়া প্রয়োজনীয় অর্থের চাহিদাপত্র অর্থ বিভাগে প্রেরণ করিবে এবং অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করিবে।

১০৮৩০

বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩

(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন সমতা স্কিমে সরকারি অংশ কর্পাস হিসাবে জমা প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ কর্তৃপক্ষ তহবিলে আকলনপূর্বক (credit) জমা করিবে এবং আকলিত (credited) অর্থ বিকলনপূর্বক (debit) সংশ্লিষ্ট চাঁদাদাতার কর্পাস হিসাবে জমা করিবে।

(৩) কর্তৃপক্ষ এই বিধির অধীন প্রাপ্ত সরকারি অনুদানের একটি হিসাব সম্বলিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অর্থ বিভাগ বরাবর প্রেরণ করিবে। ১০। চাঁদাদাতা কর্তৃক নমিনী মনোনয়ন । — (1) স্কিমের চাঁদাদাতা, স্কিমে জমাকৃত অর্থ বা জমার বিপরীতে প্রাপ্য পেনশন বাবদ অর্থ তাহার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করিয়া এক বা একাধিক নমিনী মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন এবং যে কোনো সময় নমিনী বাতিল করিয়া এক বা একাধিক নূতন নমিনী নির্বাচন করিতে পারিবেন। (২) চাঁদাদাতা কর্তৃক প্রদত্ত একক নমিনী বা একাধিক নমিনীর ক্ষেত্রে সকল নমিনী মৃত্যুবরণ করিলে চাঁদাদাতাকে পুনরায় নমিনী মনোনয়ন করিতে হইবে। (৩) নমিনী নাবালক হইলে, চাঁদাদাতার মৃত্যুর পর নমিনী সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নমিনীর পক্ষে স্কিমের প্রাপ্য অর্থ গ্রহণ বা উত্তোলনের জন্য চাঁদাদাতা নমিনী প্রদানকালে যে কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ নিয়োগের ক্ষেত্রে চাঁদাদাতার মৃত্যুর পর নমিনী সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি নাবালকের প্রতিনিধি হিসাবে গণ্য হইবে। ১১। স্কিমের সম্মুখ অফিস । (1) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, তহবিলের জন্য নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংক বা ব্যাংকসমূহের শাখা বা উপশাখা, অন্য কোনো সরকারি অফিস এবং পোস্ট অফিসের শাখাসমূহকে স্কিমের সম্মুখ অফিস হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। (২) চাঁদাদাতা স্কিমে নিবন্ধন এবং অংশগ্রহণের পর এই সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট, হেল্প ডেস্ক এবং সম্মুখ অফিস হইতে সংগ্রহ করিতে পারিবেন। (৩) সম্মুখ অফিসে দায়িত্ব পালনকালে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম করা হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে। (৪) কোনো সম্মুখ অফিসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হইলে বা অন্য কোনো উপযুক্ত কারণে, কর্তৃপক্ষ সম্মুখ অফিস হিসাবে ঘোষিত কোনো অফিসকে বাদ দিতে পারিবে। ১২। চাঁদাদাতার পেনশন হিসাব বা কর্পাস হিসাব । — (১) স্কিমের আওতাভুক্ত প্রত্যেক চাঁদাদাতার নামে একটি পৃথক পেনশন হিসাব থাকিবে, যাহা তাহার কর্পাস হিসাব হইবে এবং উক্ত কর্পাস হিসাবে চাঁদাদাতা কর্তৃক জমাকৃত চাঁদার অংক হিসাবায়ন করা হইবে।

বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩ ১০৮৩১

(২) কর্তৃপক্ষ প্রতি অর্থ বৎসর শেষে সর্বজনীন পেনশন তহবিলের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী অনুযায়ী কর্পাস হিসাবের স্থিতির উপর লভ্যাংশ ঘোষণা করিবে। (৩) চাঁদাদাতার জমাকৃত চাঁদার উপর উপ-বিধি (২) এর অধীন ঘোষিত নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ আকলন (credit) দেখাইয়া কর্পাস হিসাবের পুঞ্জীভূত জমার পরিমাণ নির্ধারিত হইবে। (৪) চাঁদাদাতার কর্পাস হিসাবে পুঞ্জীভূত জমার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মাসিক পেনশন (অ্যানুইটি) এর পরিমাণ নিরূপণ করা হইবে। ১৩। স্কিমের রূপান্তর।— (১) চাঁদাদাতা যৌক্তিক কারণ উল্লেখপূর্বক, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, তাহার অনুকূলে চালুকৃত স্কিমের পরিবর্তে অন্য স্কিম বা স্কিমের চাঁদা প্রদানের হার পরিবর্তন করিতে পারিবেন। (২) স্কিম রূপান্তরের ক্ষেত্রে রূপান্তরিত স্কিমে নূতন চাঁদার হিসাব পৃথক রাখিয়া লভ্যাংশ ও পুঞ্জীভূত জমার অর্থের হিসাব করিতে হইবে, যাহা পূর্বতন স্কিমের পুঞ্জীভূত জমার সহিত যুক্ত হইবে। (৩) স্কিম রূপান্তরের কারণে মেয়াদ পূর্তিতে মাসিক পেনশনের পরিমাণ পুনঃনির্ধারিত হইবে। ১৪। স্কিমের স্বত্ব।—(১) এই বিধিমালার অধীন কোনো চাঁদাদাতার অনুকূলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কোনো স্কিমের সম্পূর্ণ স্বত্ব উক্ত স্কিমের চাঁদাদাতার থাকিবে। (২) পেনশন স্কিমে চাঁদাদাতা উক্ত স্কিমের স্বত্ব অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সত্ত্বার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না: তবে শর্ত থাকে যে, স্কিম বা পেনশন চলিবারকালে যে কোনো সময়ে চাঁদাদাতার মৃত্যু হইলে উক্ত স্কিমের অর্থ চাঁদাদাতা কর্তৃক মনোনীত নমিনী বা নমিনীর অবর্তমানে চাঁদাদাতার উপযুক্ত উত্তরাধিকারী বরাবর হস্তান্তরে কোনোরূপ বাধা থাকিবে না। ১৫। প্রদত্ত চাঁদা হইতে ঋণ গ্রহণ। (১) চাঁদাদাতা, নিজের এবং পরিবারের সদস্যগণের চিকিৎসা, গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত এবং সন্তানের বিবাহের ব্যয় নির্বাহের জন্য, প্রয়োজনে, তহবিলে কেবল তাহার জমাকৃত অর্থের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) ঋণ হিসাবে উত্তোলন করিতে পারিবেন, যাহা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ধার্যকৃত ফিসহ সর্বোচ্চ ২৪ (চব্বিশ) কিস্তিতে পরিশোধ করিতে হইবে এবং সমুদয় অর্থ চাঁদাদাতার হিসাবে জমা হইবে। (২) বিধি (১) এর অধীন গৃহীত ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে কোনো ঋণ গ্রহণ করা যাইবে না। ১৬। চাঁদাদাতা বা পেনশনারের মৃত্যুর পর স্কিমের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ প্রদান। (১) চাঁদাদাতা নমিনী প্রদানপূর্বক মৃত্যুবরণ করিলে এবং তাহার মৃত্যুর পর নমিনী মনোনয়ন কার্যকর থাকিলে উক্ত স্কিমের অর্থ নমিনী প্রাপ্য হইবেন।

১০৮৩২ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩

(২) নমিনী নাবালক হইলে চাঁদাদাতা বা পেনশনারের মৃত্যুর পর বিধি ১০ এর উপ-বিধি (৩) এর বিধান অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি স্কিমের বিপরীতে জমাকৃত অর্থ বা পেনশনের অর্থ প্রাপ্য হইবেন এবং উক্তরূপ কোনো ব্যক্তি নিয়োগপ্রাপ্ত না হইলে নাবালকের আইনসম্মত অভিভাবক উল্লিখিত স্কিমের আওতায় পাওনা অর্থ প্রাপ্য হইবেন। (৩) কোনো স্কিমের বিপরীতে একাধিক নমিনী থাকিলে এবং যে কোনো একজন নমিনী মৃত্যুবরণ করিলে এবং মৃত নমিনীর বিপরীতে নূতন কোনো নমিনী মনোনয়ন না করা হইলে, জীবিত নমিনী বা নমিনীগণ উল্লিখিত স্কিমে উত্তরাধিকারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং উক্ত স্কিমের অর্থ প্রাপ্য হইবেন। (৪) কোনো স্কিমের চাঁদাদাতা মাসিক পেনশন প্রাপ্যতা অর্জিত হইবার পর মৃত্যুবরণ করিলে উক্ত স্কিমে জমাকৃত পুঞ্জীভূত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন নির্ধারণপূর্বক তাহার নমিনী বা নমিনীগণকে অথবা নমিনী না থাকিলে তাহার উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণকে পেনশন প্রদান করা যাইবে এবং এই ক্ষেত্রে উপ-বিধি (৫) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে। (৫) এই বিধির আওতায় কোনো স্কিমের চাঁদাদাতা পেনশনে থাকাকালীন তাহার বয়স ৭৫ (পঁচাত্তর) বৎসর পূর্ণ হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে পেনশনারের নমিনী বা নমিনীগণ অথবা নমিনী না থাকিলে তাহার উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণ অবশিষ্ট সময়ের জন্য অর্থাৎ মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ (পঁচাত্তর) বৎসর পূর্ণ হইতে যতদিন অবশিষ্ট থাকিবে ততদিন পর্যন্ত মাসিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। (৬) কোনো স্কিমের চাঁদাদাতা মাসিক পেনশন প্রাপ্যতা অর্জিত হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে তাহার নমিনী বা নমিনীগণ অথবা নমিনীর অবর্তমানে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীগণ মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ ফেরত পাইবেন। ১৭। চাঁদাদাতা বা পেনশনার মৃত্যুবরণ করিলে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিধান। — (১) নমিনীর অবর্তমানে উত্তরাধিকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত উত্তরাধিকার সনদের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। (২) কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সচিব, অর্থ বিভাগ বরাবর আপিল করিতে পারিবেন। (৩) আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। ১৮। রেকর্ড সংরক্ষণ। — কর্তৃপক্ষ স্কিমের হিসাব, পেনশন হিসাব, কর্পাস হিসাব, চাঁদাদাতা ও নমিনীর জীবন বৃত্তান্তসহ যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ ও নিয়মিত হালনাগাদ করিবার পাশাপাশি backup রাখিবে।














No comments

Your opinion here...

Theme images by fpm. Powered by Blogger.