ad

নৈমিত্তিক ছুটি সর্বোচ্চ কত দিন ভোগ করতে পারবেন?

Views

নৈমিত্তিক ছুটি সর্বোচ্চ কত দিন ভোগ করতে পারবেন?


সরকারি কর্মচারীরা বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করে থাকেন। আসলে নৈমিত্তিক ছুটি কোন ছুটিই নয়। নৈমিত্তিক ছুটি কালীন সময়কে কর্মরত কাল হিসাবেই গন্য করা হয়।

সারসংক্ষেপ:

  • সর্বোচ্চ ১০ দিন ছুটি এক সাথে ভোগ করা যাবে। এর বেশি প্রয়োজন হলে অর্জিত ছুটি নিতে হবে।
  • পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৫ দিনে দেওয়া যেতে পারে।
  • জনস্বার্থে অফিস প্রদান নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর নাও করতে পারেন।
  • এ ছুটি কোন অধিকার নয়, এটা দৈননন্দিন জরুরী প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয়, সংস্থাপন বিভাগের ৮ই এপ্রিল, ১৯৮২ইং তারিখের ইডি (রেগ-৬১)/ছুটি-১৪/৮১-২৪(৫০০১) নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুরী সংক্রান্ত নির্দেশমালা জারি করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী সকল আদেশ বাতিলক্রমে সরকার নিম্নোক্ত আদেশ জারী করিতেছেনঃ
নৈমিত্তিক ছুটি চাকুরী বিধিমালা স্বীকৃত ছুটি নয় এবং নৈমিত্তিক ছুটি জনিত অনুপস্থিতিকে কাজে অনুপস্থিতি হিসাবে গণ্য করা হয় না। বাংলাদেশ চাকুরী বিধিমালার প্রথম খন্ডের ১৯৫ নং বিধির টীকা ২-এ উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে এইরূপ ছুটি মঞ্জুর করা হয়। এই ধরণের ছুটিতে অনুপস্থিত কর্মকর্তার কর্মদায়িত্ব পালনের জন্য কোন বদলীর (Substitute) ব্যবস্থা করা হইবে না। তাই নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কর্মকর্তার অনুপস্থিতির কারণে যদি জনস্বার্থ ক্ষুন্ন হয় তাহা হইলে ছুটি প্রদানকারী ও ছুটি ভোগকারী কর্মকর্তা উভয়েই দায়ী থাকিবেন।
পঞ্জিকাবর্ষে সকল সরকারী কর্মচারী বৎসরে সর্বমোট ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন। (পরবর্তীতে এটি ২০ দিন করা হয়েছে)
কোন সরকারী কর্মচারীকে একসংগে ১০ দিনের বেশী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে না। তবে, অত্র বিভাগের ২৫-২-১৯৮২ তারিখের বিজ্ঞপ্তি ইডি (রেগ-৬)/ছুটি-১৩/৮০-১৪ মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় কর্মরত সকল কর্মচারীকে এক বৎসরে মঞ্জুরযোগ্য ১৫ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একই সংগে ভোগ করিতে দেওয়া যাইতে পারে।
কোন কর্মকর্তা আবেদন জানাইলে সর্বোচ্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একবার বা একাধিকবার রবিবার অথবা অন্য কোন সরকারী ছুটির দিনের পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করার অনুমনি প্রদান করা যাইতে পারে। যে ক্ষেত্রে এই ধরণের আবেদন করা হইবে না বা অনুমতি দেওয়া হইবে না, সেই সকল ক্ষেত্রে রবিবার বা সরকারী ছুটির দিনগুলিও নৈমিত্তিক ছুটি হিসাবে গণ্য করা হইবে।
নৈমিত্তিক ছুটি উভয়দিকে সরকারী ছুটির সঙ্গে সংযুক্ত করা যাইবে না।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কোন ব্যক্তি সদরদপ্তর ত্যাগ করিতে পারিবে না।
নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকালীন কোন ব্যক্তিকে সদরদপ্তর হইতে এমন দূরত্বে যাইতে অনুমতি দেওয়া যাইবে না, যেখান হইতে সদরদপ্তরের কাজে যোগদানের আদেশ পাওয়ার পর কাজে যোগদান করিতে ৪৮ ঘণ্টার অধিক সময় লাগিতে পারে।
নিয়মিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অথবা অধন্তন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ নৈমিত্তিক ছুটি এবং তৎসংগে সদরদপ্তর ত্যাগের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন। গুরুতর অসুস্থ্যতা, বিশেষ করিয়া সংক্রামক ব্যধির (যেমন, গুটি বসন্ত) ক্ষেত্রে কাজে যোগদানের নির্দেশ প্রাপ্তির সংগে সংগেই কাজে যোগদান সম্ভব নয় বিধায় এই সকল ক্ষেত্রে নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করার প্রশ্ন উঠে না। তবে ব্যক্তিগত অসুবিধা, সামান্য অসুস্থ্যতা (যেমন, সাধারণ জ্বর) ইত্যাদি কারণে নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকাকালীন কেহ বিদেশে গমন করিতে পারিবেন না।
সরকারী কাজে অথবা প্রশিক্ষণার্থে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদিগকে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান সরকার নিরুৎসাহিত করেন। তবে কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাইবে।
২. এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রদত্ত নির্দেশমালা সকল সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদিগকে গোচরীভূত করিবার জন্য অনুরোধ জানানো হইল।
আদেশটি জারি করেছেন উপসচিব এ,এ, খান।

Theme images by fpm. Powered by Blogger.